Article archive

ধর্মের গন্ধ! মৌলবাদ! সাম্প্রদায়িকতা!!

30/05/2013 00:00
প্রকৃতি আমাদেরকে সাম্প্রদায়িক এবং ধার্মিক করেছে। আমরা ইচ্ছে করলেই অসাম্প্রদায়িক বা ধর্ম নিরপেক্ষ হতে পারবো না। এটা একেবারেই অসম্ভব! আমি যদি নিজেকে মুসলমান বললে সাম্প্রদায়িক হয়ে যাই তাহলে কি বললে অসাম্রদায়িক হব? বাংলাদেশী? তাহলে তো একজন ভারতীয় বা পাকিস্তানির কাছে আমি অসাম্প্রদিয়িক হতে পারলাম না! ভাল কথা! এই সমস্যা সমাধানের একটা উপায় আমার কাছে আছে। নিজেকে একজন মানুষ হিসাবে পরিচয় দেয়া। কিন্তু তার পরেও কি হবে?? সৃষ্টি জগতের বাকিরা এসে বলবে আমি সাম্প্রদায়িক! নিজেকে প্রানি বলব? উদ্ভিদ আসবে! জীব বলব? জড় পদার্থ আসবে!    মাথায় একটা বুদ্ধি এসেছে নিজেকে সৃষ্টি বলা যেতে পারে। সব কিছুই তো সৃষ্টির মধ্যে পড়বে। কিন্তু সমস্যা এখানে নয় সমস্যা হল আমি যদি নিজেকে সৃষ্টি বলে পরিচয় দেই তাহলে স্রষ্টা একজন আছেন সেটা মেনে নিতে হবে। তবে তো আবার সেই ধর্মের গন্ধ! মৌলবাদ! সাম্প্রদায়িকতা!! এই সব অপবাদ থেকে বাঁচার একটা উপায় হয়ত আছে সেটা ধর্ম নিরপেক্ষ হয়ে যাওয়া। তবে এখানেও আমার সমস্যা আছে! পৃথিবীতে কেউ নিরপেক্ষ হতে পারেন না। স্বয়ং সৃষ্টি কর্তাও নন। সবাইকে একটা পক্ষ নিতেই...

ঋণ

25/05/2013 17:10
-        তুমিকি আমাকে তোমার ঋণ শোধ করার সুযোগ দেবে?   শুভ ঠিক সেই আগের মতোই দাঁড়িয়ে থাকে। কি ঋণ? কিসের ঋণ? শুভ ভেবে পায়না। সেঁজুতি কোন ঋণের কথা বলছে?   -        তুমি যদি আমাকে তোমার ঋণ থেকে মুক্ত হওয়ার সুযোগটা দিতে!   শুভ’র মাথায় কিছুই আসছে না। সে ভেবে পাচ্ছেনা কি বলা উচিত তার। সে কি কোন কিছু না বলে চুপ করে চলে আসবে? নাকি সেঁজুতিকে সুযোগটা দেয়া উচিত। দিলেই বা সেঁজুতি কি পারবে শুভ’র সকল পাওনা মিটিয়ে দিতে। হয়ত টাকা দিয়ে সেঁজুতি একটা চেষ্টা করবে। কত টাকা দেবে সেঁজুতি! শুভ’র মনের দাম সেঁজুতি কত টাকা মনে করে সেই ব্যাপারটা জানার একটা গোপন ইচ্ছে সব সময় শুভ’র ভাঙ্গা মনে খেলা করে। আজ কি শুভ সেই সুযোগটা নেবে? সেঁজুতির সাথে শুভ’র পরিচয় একেবারেই অল্প সময়ের জন্যে। কিন্তু শুভ সেই পুরো সময়টা সেঁজুতি কে দিয়ে দিয়েছিল। প্রতি সেকেন্ড হিসেব করে যদি শুভ হিসাব করে তাহলে অন্তত ঘুম বিহীন পাঁচ মাসের প্রতিটি সেকেন্ড শুভ শুধু সেঁজুতিকে নিয়েই ভেবেছে। এই সময়ে শুভ’র মস্তিষ্কের প্রতিটি নিউরনের কোষ দেহ, ডেনড্রাইট, অ্যাক্সন জুড়ে...

পাখি বন্ধু রফিক

24/05/2013 15:09
মা পাখিটা প্রখর রৌদ্রের মধ্যে ডিমে বসে তা দিচ্ছে। বাবা পাখিটাকে অনেকক্ষণ ধরে আশেপাশে কোথাও দেখা যাচ্ছে না। সম্ভবত খাবারের সন্ধানে বাহিরে গেছে। আজ আট দিন হল ডিমে তা দিচ্ছে। আর কিছু দিনের মধ্যেই ডিম ফুটে বাচ্ছা বেরুবে। বাবা পাখিটা বেজায় খুশি। এদিক সেদিক ছুটিছুটি করে সে। মা-বাবা দুজনেই পালা করে ডিমে তা দেয়। এভাবেই চলছিল তাদের সুখের দিনগুলো। রফিক পাখিগুলকে ছেড়ে একদম থাকতে পারছিলনা। তাই মামা বাড়ি গিয়েও পাখি দুটির জন্যে তার মন ছটফট করতে লাগলো। বাড়ি ফিরে আসার জন্যে রফিক বারবার মাকে বিরক্ত করতে লাগলো। কিছুদিন পর যখন ফিরল তখন কাপড় না খুলেই চলে গেল পুকুর পাড়ে, সেখানে পাখি দম্পতির বাসা। কিছু দূর থাকতেই তার কানে ছানা পাখিদের কিচির মিচির শব্দ ভেসে এলো। ছানা দুটোর কিচির মিচির শব্দে রফিকের ছোট্র মনটি আনন্দে নেচে উঠলো। মা পাখিটা ছানা দুটোকে আদর করছে আর বাবা পাখিটা গাছের ডালে বসে মনের আনন্দে এদিক ওদিক তাকাচ্ছে। রফিকের আনন্দ তখন দেখে কে? সে বাড়ির দিকে দিল এক দৌড়। তারপর বাড়িতে গিয়ে মাকে জড়িয়ে ধরে বলল- মা আজ তোমাকে খু-উ-ব মাজার একটা জিনিস দেখাব।। চল মা আমার সাথে। রফিকের মা তখন...

এসো কোরআন বুঝি-১

09/05/2013 00:35
 সূরাঃ আল-আসর   তিলাওয়াতঃ  সূরা আসরের সংকিপ্ত পরিচয়ঃ এটি আল কোরআনের ১০৩ তম সূরা। আয়াত সংখ্যা ৩, সূরাটি মাক্ষী সুরার অন্তর্ভুক্ত। এ সুরায় সম্পূর্ণ দ্ব্যর্থহীন ভাষায় মানুষের সাফল্য ও কল্যাণের এবং তার ধ্বংস ও সর্বনাশের পথ বর্ণনা করা হয়েছে। ইমাম শাফেঈ যথার্থই বলেছেন , লোকেরা যদি এই সূরাটি সম্পর্কে চিন্তা - ভাবনা করে তাহলে এই একটি সূরাই তাদের হেদায়াতের জন্য যথেষ্ট।   সূরা আসরের বাংলা অনুবাদঃ ১ সময়ের কসম! ২ নিশ্চয়ই মানুষেরা বড় ক্ষতির মধ্যে রয়েছে, ৩ তবে তারা ব্যাতিত যারা ঈমান এনেছে, ভাল কাজ করে, একে অপরকে হক কথা বলা এবং ধৈর্য ধরার উপদেশ দেয়।   এ সুরার বাংলা অনুবাদ পড়ে আমাদের মনে কয়েকটি প্রশ্ন জাগে আর তা হলঃ ১ আল্লাহ্‌ তো আমাদের সবকিছুর মালিক তিনি যা বলবেন তাই তো সত্য। তাহলে তিনি এখানে কসম করে বলছেন কেন? ২ এত কিছু থাকতে তিনি সময়ের কসম করলেন কেন? ৩ ঈমান কি এবং কিসের উপর ঈমান আনতে হবে? ৪ এখানে ভাল কাজ বলতে কোন কাজের কথা বুঝানো হয়েছে? ৫ হক কথা কি? ৬ ধৈর্য ধরার উপদেশ দিতে হবে কেন?   এবার অতি সংক্ষেপে নিচে উপরের...

আটলান্টিকের সৈকতে বারভিকিউ

02/05/2013 15:39
এদেশে আসার পর থেকেই বারভিকিউ করব এমন একটা শখ কাজ করছিল অনেক দিন ধরে। বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও সফল হতে পারিনি। সময় সল্পতা আর এক সাথে সবাই ফ্রি না থাকায়। আতঃপর ক্যালেন্ডারের পাতায় ২৭শে মার্চ। সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম আজ বারভিকিউ হচ্ছে। সবাই যেহেতু রাতে কাজ করি তাই সিদ্ধন্ত হল কাজ শেষে সবাই সমুদ্র পাড়ে চলে আসব। আমি আগেই ডে অফ নিয়ে রেখেছিলাম। তাই দায়িত্ব পড়ল আমি সব কিছু করব। আকাশে পূর্ণ চাঁদ মানে জ্যোৎস্না রাত। সমুদ্রে যারা জ্যোৎস্না দেখেনি তাদেরকে বলে বুঝানো সম্ভব না। আমার মনে হয় জ্যোৎস্নার সবচেয়ে বেশি সৌন্দর্য প্রকাশ পায় সীমাহীন সমুদ্রে। চার দিকে যেন রূপা ঝরে পড়ে। এদেশে আমার সকল সময় কেটেছে সমুদ্র পাড়ে। কোন জ্যোৎস্না বাদ পড়েনি যে আমি সমুদ্র পাড়ে বসে ছিলাম না। জ্যোৎস্নার মেলা আর সমুদ্রের গর্জনের সাথে আমার মিতালী আমৃত্যু। কথা ছিল সবাই রাত ১২টা ৩০ মিনিটে বীচে চলে আসবে কিন্তু দেখা গেল অনেক আগেই সবাই চলে এসেছে। বারভিকিউ এর সাথে চলল বেশ কয়েকজনের গান। কেউ গাইছে আবদুল করিমের “আগে কি সুন্দর দিক খাটাইতাম” আবার কেউ “গাইছে গাড়ি চলেনা চলেনা”, “স্বাদের লাউ”। সেই রাতের...

বিলেতের পথে পথে- ৫

25/04/2013 15:34
অনেক দিন হয়ে গেল বিলেতের পথে পথে লেখা বন্ধ করে রেখেছি। আজ হঠাৎ করে মনে হলে এবার শুরু করা দরকার তাই......। আমি নিশাচর প্রাণী। অন্তত সত্তর ভাগ ক্ষেত্রেই নিশাচর। সারা রাত জেগে সকাল ছয়টার দিকে ঘুমাই। ঘুম থেকে উঠি ঘড়ির কাটা যখন ঠিক এগারটা ছুঁই ছুঁই। এক সেকেন্ড এদিক সেদিক হবে না! শুধু মাত্র যে দিন ইউনি থাকে আর ডে অফ থাকে সেদিন রুটিন অন্যরকম। ইউনি থাকলে আমি ঘুম থেকে উঠি ঠিক সাড়ে আটটায়। তার পর এক কাপ কফি নিয়ে মুবাইলে মেইল, ফে বু আর ব্লগ চেক করে দৌড় বাসের জন্যে। কারন গাড়িতে বসে মোবাইল টিপানুতে আমার অ্যালার্জি আছে! ক্যলেন্ডারের পাতায় সেদিন ছিল বোধ বার ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ সাল। ডে অফ। সেই সাথে ইউনিতে কোন ক্লাস নেই। ঠিক করলাম ইংল্যান্ডে যাচ্ছি। প্রথমে London এবং পরে Dover. উদ্দেশ্য Dover মিউজিয়ম। অনেক আগে শুনেছিলাম Dover মিউজিয়ামে ব্রোঞ্জ যুগের একটা নৌকা রাখা হয়েছে। প্রায় সাড়ে তিন হাজার বছরের পুরাতন নৌকা!! ধারনা করা হয় নৌকাটি খ্রিষ্ট পূর্ব ১৫০০ সাল অর্থাৎ ব্রোঞ্জ যুগের মাঝামাঝি সময়ে ইংল্যান্ডে তৈরি করা হয়েছিল নৌকাটি। শুনার পর থেকেই লোভ সামলাতে পারছিলাম...

আইফেল টাওয়ারের দেশে

11/06/2012 01:46
ইউনিভার্সিটিতে হলিডে, অনেকেই নিজেদের দেশে যাচ্ছে। যারা যাচ্ছেনা তারা বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার প্লান করছে। আমার শুধু কোন প্লান নেই। আমার হলিডেতে আমি দেশে যাচ্ছিনা শুনে আমার এক ফ্রেন্ড আমাকে জিজ্ঞেস করলো হলিডেতে অন্য কোথাও যাওয়ার ইচ্ছে আছে কি না। আমার যেহেতু কাজে কোন হলিডে পাওয়ার চান্স ছিল না তাই বললাম একদম কাছে কোথাও যাওয়া যায় কিনা। পরে দুজন মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম ফ্রান্সের প্যারিসে যাচ্ছি। সকালে যাব আবার রাতে চলে আসব। প্যারিসের কথা বললে সেইন নদীর কথাটাও চলে আসে অনেকটা "কান ঠানলে মাথা আসে" এর মত। মনে পড়ে যায় কবি মাইকেল মধুসূদনের কথা। এই নদীর তীরেই কবি রচনা করেছিলেন কপুতাক্ষ নদ কবিতা। এই সেই বিখ্যাত সেইন নদী যার তীরে কবি মধুসূদন রচনা করেছিলেন কপুতাক্ষ নদ নিচ থেকে তুলা আইফেল টাওয়ারের ছবি প্যারিস শহরটার সাথে আমার পরিচয় ছোট বেলা থেকেই। খুব সম্ভব ষষ্ট শ্রেণীর কোন এক প্রবন্ধে প্যারিসের কথা পড়েছিলাম। শুনে ছিলাম আইফেল টাওয়ারের কথাও। লোহার তৈরি বিশাল এক টাওয়ার। মনে মনে একটা ছবিও একে রেখেছিলাম। মিলেনি বাস্তবের সাথে। বাস্তবের আইফেল টাওয়ার আরও বেশি সুন্দর আরও...

ইংলিশ চ্যানেল এবং আমার প্রিয় রটিংডেন ভিলেজ

15/04/2012 12:24
আপনার অনেকেই হয়ত ইংলিশ চ্যানেলের সাথে পরিচিত। আমার যতদূর মনে পড়ে ছোট বেলা কোন এক সাধারন জ্ঞান বইয়ে পড়েছিলাম, কোন মানুষ সর্ব প্রথম সাঁতার কেটে ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করেন? আর পর থেকে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলাম কখন সেই দিন আসবে যেদিন আমি নিজেও ইংলিশ চ্যানেলে সাঁতার কাটবো। কেটে ছিলামও!! সে গল্প আরেকদিন হবে। আজকের পর্বে ইংলিশ চ্যানেলকে আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেব। (Rotting den village-এ ইংলিশ চ্যানেলের সৈকতে) (Rotting den village-এ ইংলিশ চ্যানেলের সৈকতে) আপনাদেরকে একটি মজার তথ্য জানাই, আপনারা কি ব্রজেন দাস নামের কাউকে চেনেন? আরেকটু খুলাসা করি, মাহান এই মানুষটির বাড়ি বাংলাদেশের মুন্সিগঞ্জ জেলার বিক্রমপুর গ্রামে। তাও চিনতে পারলেননা! ওকে! আরেকটু তথ্য দেই। তিনি ১৯৫৬ সালে অলিম্পিকে সাতারে তৎকালীন পাকিস্তান দলের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। যিনি ১৯৬১ সালে বিশেষ কিছু করার জন্যে কুইন এলিজাবেথের কাছ থেকে পুরস্কার পেয়েছিলেন। তাও চিনতে পারলেন না? (ক্লিফের সামনে আমি) (সামুদ্রিক প্রবাল) (সামুদ্রিক প্রবাল) সমস্যা নেই। আমিই বলছি, তিনিই সেই ব্যাক্তি যিনি প্রথম এশিয়ান হিসাবে সাঁতার...

স্বপ্নের দেশ আয়ারল্যান্ডে দুই সাপ্তাহ

26/02/2012 01:51
পাহাড়, সমুদ্র, বিশাল সবুজ মাঠ আর ঘোড়ার খামার, সব মিলিয়ে চার দিকে আটলান্টিক মহা সাগরে ঘেরা ছবির মত সুন্দর এক দেশ। অনেকটা রাজকীয় দেশ বলা চলে। মনে পড়ে গেল কবি মতিউর রাহমান মল্লিক ভাইয়ের লেখা গানঃ তোমার সৃষ্টি যদি হয় এত সুন্দর না জানি তাহলে তুমি কত সুন্দর কত সুন্দর ....... মল্লিক ভাইয়ের কণ্ঠে গাওয়া এই গানটি শুনতে এখানে ক্লিক করুন আল্লাহ্‌ আমাদের এই প্রিয় ভাইটিকে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন। ইংল্যান্ডে আসার পর সবার আগে আয়ারল্যান্ডে যাবার কথা থাকলেও সময় স্বল্পতা, লেখাপড়া আর কাজ এই তিন জিনিসের জন্যে হয়ে উঠেনি। আমার বড় চাচার ফেম্যালির সবাই আয়ারল্যান্ডে থাকেন। বার বার বলার পরেও আসলে যাওয়া হয়নি। এখন বুজতে পারছি। কি ভুলটাই করতাম, যদি এখানে না আসতাম! ভাইয়া আগেই প্লেনের টিকেট করে রেখেছিল। কাজেই London Gatwick থেকে easy jet প্লেনে সোজা নরদান আয়ারল্যান্ডের রাজধানী Belfast এয়ারপোর্টে গিয়ে নামলাম। সূর্যি মামা তখন ঘুমুতে গেছেন। এখনকার রাস্তাঘাট অনেক ফাঁকা। ইংল্যান্ড থেকে এখানে মানুষের সংখ্যা একটু কমই হবে মনে হল। বাসায় আসতে মাত্র ২০ মিনিটের মত...

ন্যচারাল হিস্টরি মিউজিয়ামে একদিন

13/02/2012 12:21
  আমার সহকর্মী রুমেল ভাইর বাংলাদেশ দূতাবাসে কি এক কাজ থাকায় আমি উনাকে নিয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসে যেতে হল। যেহেতু তিনি নতুন লন্ডনে এসেছেন তাই মুস্তাফিজ ভাইর অনুরোধে উনার সাথে যেতে হল। বাংলাদেশ দূতাবাসে গিয়ে দেখলাম উনারা দুপুর ১ টা পরে আর কোন অফিসিয়াল কাজ করেন না। কাজেই সিদ্ধান্ত নিলাম দুজন মিলে ন্যচারাল হিস্টরি মিউজিয়ামে যাচ্ছি। লন্ডনের ন্যচারাল হিস্টরি মিউজিয়ামটি Kensington-এ অবস্তিত। মজার ব্যাপার হচ্ছে এখানে পাশাপাশি বেশ কয়েকটি নামকরা মিউজিয়াম অবস্তিত। যেমন সায়েন্স মিউজিয়াম, ভিক্তুরিয়া এন্ড আল্ভারত মিউজিয়াম ইত্যাদি। বেশির ভাগ দেশের দূতাবাসও এখানেই। এ মিউজিয়াম সম্পর্কে আমার এত আগ্রহের কারন হল যেহেতু আমি প্রানি বিজ্ঞানের ছাত্র ছিলাম সেহেতু আগেই জানা ছিল এ মিউজিয়ামের বেশির ভাগ অবজেক্ট প্রানিবিদ্যার অন্যতম প্রধান বিজ্ঞানী ডারউইনের নিজের হাতে সংগ্রহ করা। এছাড়া এখানকার ডাইনোসর আক্সিবিসন, ডাইনোসরের বিশাল ফসিল, প্রিথিবীর প্রায় সকল অংশ থেকে সংগ্রহ করা পাথর, হীরা, সকল ধরনের (মেরুদণ্ডী এবং অমেরুদণ্ডী)প্রানিদের ড্রাই প্রিজারভেসন, আর্থ গ্যালারি, ডারউইন সেন্টার...
Items: 81 - 90 of 91
<< 6 | 7 | 8 | 9 | 10 >>