Article archive
মা তোমাকে লিখছি……
06/06/2013 02:03
কেমন আছ মা তুমি? কত দিন তোমাকে দেখিনা! তোমার পাশে ঘুমাইনা। জান মা রাতে যখন হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে যায় অন্ধকারে তোমাকে হাতড়ে বেড়াই। তোমার কাছ থেকে নিয়ে আসা জায়নামাজটা আমার বিছানার পাশেই থাকে। অন্ধকারে আমি তোমার শরীরের ঘ্রান অনুভব করি। কত মমতায় আমায় জড়িয়ে রাখতে। রাতে ঘুম ভাংলে এখন আর আমার শরীরের উপর তোমার হাত পাইনা। এখন আর কেউ তোমার মত মাথায় হাত ভুলিয়ে ঘুম থেকে জাগিয়ে দেয়না।
আচ্ছা মা, তুমি কি এখনও রাস্তার মোড়ে আমার পথ চেয়ে দাড়িয়ে থাক। জান মা এখনও আমার কলেজ ব্যাগটা অনেক ভারি থাকে। কিন্তু কেউ সেটা তোমার মত জোর করে তার হাতে নেয়না।
তোমার তৈরি করা শাতকরা দিয়ে গরুর মাংস আর চালের গুঁড়ির পিটা খুব মিস করি মা। চার চারটি ঈদ চলে গেল তোমাকে ছাড়া। তোমাকে জড়িয়ে না দরার ব্যাথাটা আমি তোমাকে লিখে বুজাতে পারবনা মা।
জান মা ফোনে যখন তুমি আমার সাথে কথা বল, আমি তোমার প্রতিটি নিঃশ্বাস বুজতে পারি। যখন তোমার শরীর খারাপ থাকে তখন আমার খু-উ-ব মন খারাপ থাকে।
একটি কথা তোমাকে কখনও বলা হয়নি মা। আমি তোমাকে খু-উ-ব বেশি ভালবাসি। তুমি খুব ভাল থেক মা।
তোমার হৃদপিণ্ড
গহীন জঙ্গলে সাফারি ভ্রমণ-শেষ পর্ব
02/06/2013 16:37
পাহাড়ের উপরে ভিজিটরদের রাত কাটানোর জন্যে নির্ধারিত বাংলো
রয়েল বেঙ্গল টেরিটরি থেকে বের হয়ে গাইডের কথা মত সোজা বেইজ ক্যাম্পে চলে এলাম। পড়ন্ত বিকেল। হাটতে হাটতে বেশ কান্ত হয়ে পড়েছিলাম। খেয়াল করলাম সঙ্গীরা (আমার সাথে যারা কারনিভরি টেরিটোড়িতে নেমে ছিল)আগেই চলে এসেছে।
বেইজ ক্যাম্পে হালকা নাস্তা করার ব্যাবস্তা আছে। তবে এখানে বাহিরের চেয়ে দাম একটু বেশি পড়বে। আমি এক গ্লাস কোক, একটা আইস ক্রিম আর এক পিস কেক দিয়ে নাস্তা সারলাম। বেইজ ক্যাম্পের আশে পাশে পাখিদের কলকাকলি ভাল লেগেছে খুব। এখানকার প্রায় সকল গাছেই তৈরি করা বাসা লাগিয়ে রাখা হয়েচে। সেই সাথে পাখিদের খাবারও রাখা হয়েচে পর্যাপ্ত।
পাখিদের জন্যে তৈরি করে রাখা বাসা।
ইংরেজি নামঃ Great Tit, বৈজ্ঞানিক নামঃ Parus major
ইংরেজি নামঃ Red, throated Thrush
বৈজ্ঞানিক নামঃ Turdus ruficollis
এই পাখিটার ছবি দেখে এখানকার একজন প্রফেসার বেশ অবাক হয়েছেন। এই পাখিটা নাকি ইংল্যান্ডে একেবারেই দুর্লভ অতিথি পাখি।
আছে এরকম খাবারের ব্যাবস্থা
হাতে তখনও আর এক ঘণ্টা বাকি। বাকি মানে সাফারি ট্রাক আরও একঘণ্টা পরে এখান থেকে আমাদের কে পিক আপ করবে...
রিজেন্ট পার্কে একদিন (শেষ পর্ব)
31/05/2013 15:49
রিজেন্ট পার্ক নিয়ে দেয়া পোস্টের বাকি ছবি গুলো এ পোস্টে দেয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি ছবি গুলো আপনাদের ভাল লাগবে।
এই সেই বিখ্যাত লাইকা সামারে যুক্তরাজ্যের এমন কোন পার্ক নেই যেখানে এই ফুলটি ফুঠে না।
কালো গোলাপ
লাল গোলাপ
Winchester cathedral
auscat
Young lycidas
ausvibrant
Pub gold
this rose was named to celebrate the 40th anniversary of pub, the charity which creates opportunities for people with and without physical disabilities to come together on equal terms
Princess margareta
auswinter
Anne Boleyn
ausecret
Harlow carr
aushouse
এই ফুলের ঘ্রাণ অনেকটা বেলি ফুলের মত, তবে এর নাম জানা হয়নি
ফুলের ছবি তুলতে গিয়ে মৌমাছিদের উপস্তিতি সত্যি আনন্দ দিয়েছে খুব
নাম না জানা আরও একটি ফুল
ফুলটির ঘ্রাণ সত্যি আমাকে মাতাল করে ছিল
নাম জানা নেই
মৌমাছি মৌমাছি কোথায় যাও নাচি নাচি একবার দাড়াও না ভাই
নাম জানা নেই
ফুলের মধ্যে ফুল!
kestrel
kestrel (white)
Harlow carr
aushouse
Benjamin britten
ausencart
Winchester cathedral
auscat
নাম জানা নেই
ঘাসের...
ছবিঃ গাঙ চিল
31/05/2013 15:47
ইংরেজি নামঃ Gulls বা seagulls
বৈজ্ঞানিক নামঃ Larus delawarensis
ছবি গুলো তুলা হয়েছেঃ আটলান্টিক সমুদ্রের সৈকত থেকে
ছবি গ্যালারিঃ
হৃদয় দেয়া নেয়া
বৈজ্ঞানিক নামঃ Larus
চোখ যে মনের কথা বলে--- আপনারা কি উনার মনে কথা বুঝতে পারছেন
দুষ্ট পাখির দল
গোসল শেষে
ভীষণ ঘুম পাচ্ছে
ইনি হাঙ্গরের শরীর খুবলে খাচ্ছেন (বৈজ্ঞানিক নামঃ Larus pacificus )
মাটিতে ছায়া ফেলে উড়ে যাওয়া
ফ্লাইং মুডে
ফ্লাইং মুডে
ফ্লাইং মুডে
পানি খাচ্ছেন উনি
সবশেষে পোজ একখান
রিজেন্ট পার্কে একদিন (প্রথম পর্ব)
31/05/2013 15:42
কুইন মেরি গার্ডেনের ফোয়ারা
ছোট বেলা পাঠ্য বইয়ের কোন এক প্রবন্ধে রিজেন্ট পার্কের লাইকা ফুলের কথা পড়েছিলাম। সেদিন কল্পনাও করিনি একদিন রিজেণ্ট পার্কে যাওয়া হবে। সৃষ্টি কর্তার অসংখ্য শোকরিয়া যে তিনি আমাকে এরকম একটি সুন্দর জায়গা দেখার সুযোগ দিয়েছেন।
লেকের উপর নির্মিত কাটের ব্রিজে হাঁটছি আমারা দুইজন
সকালে ঘুম থেকে উঠতে একটু দেরি হয়ে গেল। অবশ্য এটা আমার জন্যে নতুন কিছু নয়। ঘড়িতে সকাল আটটা ছুঁইছুঁই। তাড়াতাড়ি ফ্রেস হয়ে ফ্রিজ থেকে একটি কুকের ক্যান আর পাস্তার বক্সটা একটা পলিতিনের ব্যগে নিয়ে নিলাম। রাতে গুচিয়ে রাখা ব্যাগ কাদে ঝুলিয়ে দৌড় দিলাম ট্রেন স্টেশনের দিকে। গন্তব্য ওয়েলসের রাজধানী কার্ডিফ থেকে ইংল্যান্ডের রাজধানী লন্ডন। টিকেট আগেই করা ছিল বলে কোন ঝামেলা পোহাতে হল না। এ দেশের এই এক নিয়ম কোন কিছু করতে হলে কিউ করতে হয় ফলে অজতা সময় নষ্ট!!
কুইন মেরি গার্ডেনে প্রবেশের প্রধান ফটক
আপু দুইবার ফোন করে নিশ্চিত হল আমি সত্যি আসছি কি না। কারন মাঝে মাঝে আমি আপুর সাথে দুষ্টুমি করি বলেই। আপুকে বললাম আসতে রাত হবে কিন্তু রিজেন্ট পার্কে যাব এ ব্যাপারটা লুকিয়ে...
তুমি কেমন আছ?
31/05/2013 00:34
আমি আজও অন্ধ্যকারে হাতড়ে বেড়াই
তোমার অস্তিত্ব! মাথার চুল
আমারি পাশে! আমারি বিছানায়
নিরবে নিঃশব্দে! হঠাৎ জেগে উঠে
আমি আজও অন্ধকারে অনুভব করি
তোমার হাত! আমার গায়ের উপর
আমার মুখে! চুলগুলো এলোমেলো
আমার বুকে! তোমার গালের উপস্তিতি
আমি আজও তোমার শুন্যতা অনুভব করি
প্রতিটি নিঃশ্বাসে! ফুসফুসের বায়ু কুটুরি থেকে
প্রতিটি স্পন্দনে! হৃদপিণ্ডের নিলয় থেকে
প্রতিটি পলকে! চোখের রেটিনা থেকে
আমি কতবার তোমাকে বলতে চেয়েছি
ভালবাসি! তুমি হাসিতে উড়িয়ে দিয়েছ
বিয়ে করব! বয়সের স্কেলে মেপেছ
আমি ভাল নেই! তুমি কেমন আছ
কিশোর রহস্য উপন্যাস : ডার্ক স্টার
31/05/2013 00:26
মূল লেখকঃ মেলানী জয়েস
অনুবাদঃ সালাহ্ আদ-দীন
এক
হঠাৎ করে টেইলরের ঘুম ভেঙ্গে গেল। স্বপ্নটা সে এখনও খুব ভাল করে মনে করতে পারছে। কেউ একজন তাঁকে বার বার চিৎকার করে বলছিল, চাবিটা দিয়ে দে! চাবিটা দিয়ে দে!! কিন্তু সে বুজে পায়না এখানে ভয় পাওয়ার কি হল। এটা তো একটা দুঃস্বপ্নই মাত্র! টেইলর এবার বালিশের নিচে হাত রাখে। নাহ! রুপার তৈরি তার প্রিয় তারাটা টিক জায়গাতেই আছে।
তারাটা হাতে নিতেই তার দাদীর কথা মনে পড়ে গেল। তার সপ্তম জন্মদিনে দাদি এটি তাকে উপহার দিয়েছিলেন। মনটা খুশিতে ভরে উঠে তার। আসলেই এই তারাটা সবসময় তার মন ভাল করে দেয়। হ্যা, মনে পড়েছে। আজ তার তের তম জন্মদিন। জীবনের এত প্রিয় একটি দিন সেকি ভুলে থাকতে পারে?
ঘর থেকে বের হয়েই আব্বু আর আম্মুর উইশ পায় টেইলর। ঠিক অন্য বছর গুলোর মতোই। অতঃপর মা তার হাতে একটা চিটি ধরিয়ে দেন। “এটি তোমার দাদি তোমার জন্যে লিখেছিলেন,” বললেন টেইলরের বাবা। “তিনি মারা যাবার আগে এটি লিখেছিলেন কিন্ত আমাদেরকে বলেছিলেন আমরা যেন টিক আজকের দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করি”।
টেইলর এবার চিঠি নিয়ে তার ঘরে চলে আসে। পড়তে শুরু করে...
ন্যাংটা বাবা ভান ধরেছে!
31/05/2013 00:16
ন্যাংটা বাবা রাগ করেছে
থাকবেনা আর দেশে
রহিম-করিম, যদু-মধু
সব লেগেছে পিছে!
গ্রামে এবার ঝাড়-ফোঁকের
কেরামতি শেষ
ন্যাংটা বাবা ভাবছে এবার
হইবে নিরুদ্ধেস!
ন্যাংটা বাবার মুরিদ সকল
আছে বহুত টেলায়
ন্যাংটা বাবা বিনে এবার
গাঁয়ে বাঁচা দায়!
ন্যাংটা বাবা পোটলা হাতে
বারেক ফিরে চায়
ক্যামনে যাবে মনটা রেখে
ঝাড়-ফোঁকের এই গাঁয়!
সবাই এখন ভূত হয়েছে
চুটকি সবাই বাঁজায়
ক্রোধে দুঃখে কান্দে ন্যাংটায়
কেউনা ফিরে চায়!
ন্যাংটা বাবা ভান ধরেছে
সরকাত হচ্ছে বলে
আত্মীয় স্বজন কেউ নাই পাশে
ন্যাংটা যাচ্ছে মরে!
ন্যাংটা বাবা অমর হোক!
31/05/2013 00:15
বাবু আমার বেজায় চালাক
ধুর্ত বানর শেয়াল!
গল্পের ছলে ন্যাংটা সাঁজে
সাধু হয়ে বসায় চাল!
তর্কে বাবু হারিয়া আবার
উঠ পাখি হইয়া যায়,
কম্বল দেখাইয়া সে
গর্তে মুখ লোকায়।
ডাইনী বুড়ি হইয়া সে
এদিক ওদিক চায়
কাহার পাছায় তেনা নাই
তাহা খুঁজিয়া বেড়ায়!
পোস্টে বাবু সাধু সাঁজে
বার্তায় হইল রাধা
বাবু আমার লুইচ্চা বেশ
সুন্দরীদের কাছে ভাদা!
বাবুর আছে মুরিদ অনেক
তেল দিয়ে যায় বেশ
ন্যাংটা বাবা মরে গেলে
স্বপ্ন তাদের শেষ!
গহীন জঙ্গলে সাফারি ভ্রমন-৩
31/05/2013 00:00
পাহাড়ের উপর বাংলো থেকে দূর সমুদ্র
আজকের পর্বঃ আফ্রিকান আক্সপেরিয়ান্স-কার্নিভরি টেরিটরি-রয়েল বেঙ্গল টেরিটোরি
আগের পর্বে বলেছি এখনাকার সবচেয়ে উঁচু পাহাড়ের উপরে আমাদের প্রথম যাত্রা বিরতি দেয়া হয়েছিল। জায়গাটা আসলেই খুব সুন্দর। ছবির মত না বলে স্বপ্নের মত বলাই ভাল। কারন এমন একটি সুন্দর জায়গা মানুষ কেবল স্বপ্নেই কল্পনা করতে পারে। এক দিকে সমুদ্র, এক দিকে সমতল ভূমি আর অন্যদিকে ঘন-অরন্য। এখানে ভিজিটরদের রাত কাটানোর জন্যে অনেক গুলো বাংলো এবং কটেজ আছে। আছে খাবারের ব্যাবস্থাও। সেই সাথে এখানে বেশ কিছু বায়ুস্কুপ চুখে পড়ল।
বাংলোর সামনে এরকম অনেক গুলো বায়ুস্কুপ আছে যা দিয়ে অনেক দূরের বস্তু আর প্রাণী দেখা যায় খুব সহজে
এদের নাম মিরক্যাট, বাংলোর আসেপাশে এদের উপস্তিতি আনন্দ দিয়েছে খুব
আরও একজন, তিনি মাথা উঁচু করে অবাক হয়ে আমাদেরকে দেখছিলেন
তিনি আমাদের সারগে মহুদয়(এখানকার একটা টিভি বিজ্ঞাপনে এদের নাম সারগে)!
গাইডের মাধ্যমে জানতে পারলাম। এখানে আপাতত আমরা সামান্য সময় যাত্রা বিরতি দেব এবং হালকা নাস্তা করব। পরে সম্পূর্ণ সাফারি শেষ হলে আমরা সন্ধায়...
Items: 61 - 70 of 91