সিলেটী ভাষার লিখিত রূপ বা নাগরী বর্ণ মালা
তখন আমি সিলেট শাহ্ জালাল জামেয়া ইসলামিয়া স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্র। আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক এবং সিলেটের বিশিষ্ট কবি জনাব আব্দুল বাছিত খান তখন আমাদের ইংরেজি পড়াতেন। জনাবের (জামেয়ায় আমরা স্যারদের জনাব বলতাম) সাথে কথা হলে জনাব আমাকে সৈয়দ মুস্তফা কামাল সাহেবের সাথে কথা বলতে বললেন। আমি তখন সৈয়দ মুস্তফা কামাল নামের কাউকে খুব ভাল করে চিনিনা। জনাবের কথা মত বন্দরের কুদরত উল্লাহ মসজিদে জুহরের নামাজ পড়লাম এবং কথা মত দেখাও হল কিন্তু সময় সল্পতার করনে বেশি কিছু জিজ্ঞেস করতে পারলাম না। তবে তিনি আমাকে সিলেটের কেমুসাস-এ যাওয়ার পরামর্শ দিলেন।
আমি আগেই জানতাম সাজু নামের আমার এক ফ্রেন্ড কেমুসাস-এর সদস্য। কাজেই ফোন দিলাম সাজুকে। কিন্তু বি,টি,বি তে কি এক প্রগ্রামের জন্যে সে তখন ঢাকায়। সাহস হারালাম না। চুপি চুপি সিলেট কেন্দ্রীয় পাটাগারে গিয়ে একদিন শুরু করলাম ভাষা বিষয়ক বই নিয়ে ঘাটাঘাটি।
যা জানলাম তাতে বেশ পোলকিত অনুবভ করলাম। সিলেটী ভাষাকে বলা হয় নাগরী ভাষা। যা বাংলা থেকে উৎপক্তির দিক দিয়ে অনেক আলাদা। যার নিজস্ব লিখিত রূপ রয়েছে। যা কোন উপভাষাও নয়! তাহলে কি আমার মাতৃভাষা নাগরী?
বেশি সময় লাগলনা, এক ঘণ্টার মধ্যেই লিখা শিখে নিলাম। মাথাটা আবার উপরের দিকে তুলে একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম।
মজার ব্যাপার হচ্ছে ইস্ট লন্ডনের টাওয়ার হেমলেটের দ্বিতীয় ভাষা হচ্ছে সিলটি বা এই নাগরী।
পত্রিকায় ছাপা হওয়া লেখাটা এখন আর আমার সংগ্রহে নেই। তবে সুযোগ পেলে আবার নতুন করে রেফারেন্স সহকারে লেখার ইচ্ছা আছে। সময় সুযোগ করে পরে হয়ত পোস্ট করা হবে।