কথা সাহিত্যিক রশীদ জামীল’কে যুক্তরাজ্যে সংবর্ধনা প্রধান

25/11/2013 02:09

কথা সাহিত্যিক রশীদ জামীল’কে যুক্তরাজ্যে সংবর্ধনা প্রধান

গত ২১শে অক্টোবর সোমবার সন্ধ্যা ৭ টায় ইস্ট লন্ডনের আমার গাঁও রেস্টুরেন্টে যুক্তরাজ্য অনলাইন লেখক ফোরামের উদ্যোগে জনপ্রিয় লেখক, ব্লগার এবং কথা সাহিত্যিক রশীদ জামীল’কে সংবর্ধনা প্রধান করা হয়। পাশাপাশি লেখককে কেন্দ্রকরে অনুষ্ঠিত হয় ‘লেখক-ব্লগার সাহিত্য সভা।‘ 

যুক্তরাজ্যের প্রাচীনতম সাহিত্য সংগঠন রেনেসা সাহিত্য মজলিসের উপদেষ্ঠা, বিলেতের বর্ষীয়ান লেখক, কবি জনাব রফিক আহমদ রফিক এর সভাপতিত্বে এবং চ্যানেল নাইন ইউ কে’র উপস্থাপক এম সালেহ আহমেদের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন হাফিজ এম মঞ্জুর আহমদ। আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট লেখক, সাংবাদিক, মাসিক দর্পন সম্পাদক রহমত আলী; বিশিষ্ট কবি, ছড়াকার আবু সুফিয়ান চৌধুরি; রেনেসাঁ সাহিত্য মজলিস ইউকে’র সেক্রেটারি জেনারেল লেখক-সাংবাদিক শিহাবুজ্জামান কামাল; নাগরিক অধিকার আন্দোলন যুক্তরাজ্যে’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, প্রতিবাদী লেখক, খতিব তাজুল ইসলাম, খিদমাহ একাডেমির চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট রাজনীতিক, কমিউনিটি ব্যাক্তিত্ব, আলহাজ আতাউর রহমান; দৈনিক সিলেটের ডাক এর চিফ ফটোগ্রাফার, যুক্তরাজ্য সফররত সাংবাদিক আব্দুল বাতিন ফয়সল; লেখক, কবি, ব্লগার মোহাম্মাদ আব্দুলহাক; লেখক, ব্লগার সালাহ আদ-দীন; ব্লগার আতিকুর রহমান; ব্লগার, কবি ইমরান আহমেদ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্তিত ছিলেন ব্লগার রিয়া হাবীব, ব্লগার মাটির ময়না, গীতিকবি শাহ আব্দুল মুহিত বাবুল প্রমুখ। 
দর্পন সম্পাদক জনাব রহমত আলি তার বক্তব্যে বলেন, একসময় কাগজই ছিল লেখেলেখির মাধ্যম। বই-পুস্তক ছিল ছড়িয়ে ছিটিয়ে। বর্তমান যুগ অনলাইনের। তবুও আমি বিশ্বাস করি একসময় আবারো আমরা কাগজের লেখার দিকে ঝুকবো। তিনি সংবর্ধিত অতিথিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, রশীদ জামীল লেখালেখির এই উভয় পর্যায়েই সমান অবদান রাখতে পারছেন। তার অনেকগুলো বই বেরিয়েছে আবার তিনি অনলাইনেও লেখালেখি করে যাচ্ছেন। এটাই সময়ের দাবি। কবি ছড়াকার আবু সুফিয়ান চৌধুরি বলেন, রশীদ জামীলেরনাম আর লেখার সাথে আমার আগেই পরিচয় ছিল। আজ সরাসরি ব্যক্তি রশীদ জামীলের সাথে পরিচিত হয়ে ভাল লাগছে। 
তিনি লেখককে আরো দুর্বার গতিতে লেখালেখির আহবান জানিয়ে বলেন, নতুন প্রজন্মকে লেখালেখির মাধ্যমেই সচেতন করে তুলতে হবে। সংবর্ধিত অতিথি রশীদ জামীল তার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, আজ আমার যে ভাইরা আমাকে এখানে এই সম্মান জানানোর আয়োজন করল, আর গুণিজন যারা এখানে এসে উপস্থিত হলেন, সবার প্রতি আমার স্বশ্রদ্ধ কৃতজ্ঞতা। 
তিনি বলেন, বর্তমান যুগ হল তথ্য-প্রযুক্তির যুগ। সময়ের সাথেই আমাদেরকে চলতে শিখতে হবে। এখন কলম আর কী বোর্ড দিয়েই যুদ্ধ করতে হবে। তিনি বলে, অনেকের মাঝেই একটি ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে যে, ব্লগার মানেই নাস্তিক। এটি মোটেও সঠিক নয়। আমি নিজে ব্লগে লেখালেখি করছি চার বছর থেকে। আজ এখানে আমার সহ ব্লগার আছেন বেশ কয়েকজন। আমরা তো আমাদের ইসলামী মূল্যবোধকেই লালন করি, ব্লগের লেখায় সেটার প্রতিফলন ঘটাই। ব্লগে আল্লাহ, নবী বা কুরআনের বিরুদ্ধে যারা কথা বলে, আমরা ব্লগেই তাদের দাতভাংগা জবাব দেই। সুতরাং গুটি কতেক কুলাংগার নষ্ট বগারের কারণে সকল ব্লগারকে মন্দ ভাবা উচিত নয়। সভাপতির বক্তব্যে কবি রফিক আহমদ রফিক বলেন, লেখকরা সমাজের প্রাণ। 
লেখকের মাধ্যমেই সমাজ জীবনি শক্তি পায়। নজরুল ফররুখদের শুন্যতা পূরণ করা না গেলে আমাদের সমাজ টিকে থাকবে না। তিনি রশীদ জামীলকে লেখালেখির ক্ষেত্রে দিশারির ভূমিকা পালন করে যাওয়ার আহবান জানান। 
সন্ধ্যা ৭ টায় শুরু হয়ে বর্ণাঢ্য এই সাহিত্য আড্ডা চলে রাত সাড়ে দশটা পর্যন্ত। আড্ডায় স্মৃতিচারণমূলক কবিতা পাঠ করেন কবি সুফিয়ান চৌধুরি। স্বরচিত গান পরিবেষন করেন কবি শিহাবুজামান কামাল।