আমার শৈশব
এইতো আমার শৈশব, এই খানে
শুয়ে কাঁদে অনাহারে, অর্ধাহারে
নানু বাড়ীর মরা নদী, তাজুর দিঘি
অন্যের খেতের আলুতে চরুইবাতি।
বানের পানিতে ভাসে কলার ভেলা
চৈত্রের দুপুরে উড়ে রাস্তার ধুলা
হুইসেল বাজিয়ে ধুঁয়া ছেড়ে যায়
লম্বা একখান মালগাড়ি হাটিহাটি পায়।
সকালে রাজহাঁস, ইয়া বড় ডিম
দুপুরে ঘন দুধ, পুঁটি দিয়ে শিম
সন্ধায় কড়ই ভাজা, জোনাকির দল
রাতে বসে পুঁতিপাঠ, ছিল্লখের ঢল।
মাঝে মাঝে আয়না চাওয়া, সন্ধ্যার পরে
মানুষ যায় যার যার, কথা যায় রেখে
সোনা বিবির বিয়ে হবে, পাকা হয় সব
পাড়ায় পাড়ায় ধুম পড়ে, সাঝসাঝ রব।
ঘুড়ি উড়িয়ে মাঠে সুতা কাটাকাটি
মার্বেল খেলায় ছিল শুধু মারামারি
মহিষের পিটে চড়ে হাকালুকি পাড়ি
খুনসুটি সবই ছিল, আরো ছিল আড়ি।